Description
উমাইয়া বংশের পঞ্চম খলিফা ছিলেন আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান। খলীফা হওয়ার আগে এবং পরে তার জীবন দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বলয়ে আবর্তিত হয়। খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি ছিলেন মদীনার প্রসিদ্ধ ফকীহ, বিচক্ষণ, দূরদর্শী এবং একনিষ্ঠ ধার্মিক ব্যক্তি। এসময় তিনি সাহাবায়ে কেরামের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা লালন করতেন। কিন্তু খেলাফতে অধিষ্ঠিত হওয়ার পরেই তার এই চরিত্র পাল্টে যায়।
তিনি তার শাসনামলে রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা, অর্থব্যবস্থা, কৃষিব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যপক উন্নতি সাধন করলেও সাম্রাজ্যকে সুদৃঢ়করার লক্ষ্যে ভিন্ন মত ও পথের লোকদের উপর ব্যপক জেল-যুলুম, নির্যাতন-নিপীড়ন করেছেন। বিশেষত তার শাসনামলে ইরাক এবং পূর্বাঞ্চলের গভর্নর হিসেবে হাজ্জাজ বিন ইউসুফকে নিয়োগ দিয়েছিলেন; যে আব্দুল মালিকের শাসনকে পোক্ত করার জন্য আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রা.-সহ বহু সাহাবী এবং অসংখ্য বিজ্ঞ-প্রাজ্ঞ ইসলামী স্কলারদেরকে হত্যা করেছে, বন্দী করে নির্যাতন করেছে। ইসলামের অগ্রগতি, প্রতিবন্ধকতা এবং খেলাফতের ধারাবাহিকতা জানার ক্ষেত্রে আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের জীবনী অধ্যয়ন করা আবশ্যক। এ লক্ষ্যেই বক্ষমাণ গ্রন্থটিতে তার জীবনী বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
লেখক পরিচিতি
ড. আলী মুহাম্মাদ সাল্লাবী; জন্ম ১৯৬৩ সালে, লিবিয়ার বেনগাযি শহরে। তিনি ১৯৯২/৯৩ সালে মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ ও উসুল আদ-দ্বীন বিভাগ থেকে ‘ব্যাচেলরস অব আর্টস’ ডিগ্রিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে সুদানে অবস্থিত উম্মু দুরমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উসুল আদ-দ্বীন, তাফসীর এবং উলূমুল কুরআন বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং ১৯৯৯ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সৌভাগ্য লাভ করেন। এছাড়াও তিনি মদীনা ও সৌদি আরবের অন্যান্য অঞ্চল এবং লিবিয়া ও ইয়েমেনের প্রথিতযথা আলেমদের সোহবতে সম্পূর্ণ কুরআন ও বিভিন্ন ইসলামী বিষয় অধ্যয়ন করেন।
Reviews
There are no reviews yet.