Description
ইসলামের আলোতে পৃথিবী আলোকিত হয়ে ওঠার যে ইতিহাস, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শে পৃথিবী সভ্য হয়ে ওঠার যে ইতিহাস, কুরআনের জ্ঞানে পৃথিবী শিক্ষিত হয়ে ওঠার যে ইতিহাস—সেখানে লেখা আছে জান্নাতী নারীদের নেত্রি নবীকন্যা ফাতিমা রাযিয়াল্লাহু আনহার অবদান। লেখা আছে তাঁর অপরিসীম ভূমিকার কথা; তার অকল্পনীয় ত্যাগ-সাধনার গল্প; তার অসীম বীরত্বের কাহিনী। তিনি এমন এক মহীয়সী নারী—যার সমতুল্য সৌভাগ্যের অধিকারী কোনো রমণী আগেও যেমন পৃথিবীতে ছিল না, পরেও আর আগমনের কোনো সুযোগ নেই। তিনি একজন মানুষ ছিলেন—কোনো ঐশ্বরিক অবতার ছিলেন না। নবীকন্যা হিসেবে তিনি ছিলেন মুমিনদের জন্য আদর্শ, এ উম্মতের জন্য এক অবিস্মরণীয় অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। তবে এক শ্রেণির মানুষ তার নামে নানা গল্প-গুজব ও মিথ্যা ইতিহাস বর্ণনা করেছে। এ থেকে উত্তরণ, নিজের আকীদা-বিশ্বাস সঠিক করা এবং ইসলামের শ্বাশত সত্য-সুন্দর ও শান্তিময় পথে জীবনকে পরিচালিত করার জন্য তার জীবনী পড়া আবশ্যক। এ গ্রন্থে ফাতিমা রাযিয়াল্লাহু আনহার যাপিত জীবনের পাশাপাশি তার সম্পর্কে রচিত বিভিন্ন মিথ্যা বর্ণনা ও অপবাদ খণ্ডন করা হয়েছে। সম্ভবত এ অসাধারণ গ্রন্থটি পাঠ না করে থাকলে ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসই আপনার অজানা থেকে যাবে।
লেখক পরিচিতি
বর্তমান আরব জাহানের খ্যাতিমান, প্রথিতযশা এক লেখকের নাম আব্দুস সাত্তার আশ-শায়খ। ১৯৫৫ খৃষ্টাব্দে তিনি সিরিয়ার দামেশকে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক পড়াশোনার পর ১৯৮০ সনে দামেশক ইউনিভার্সিটি থেকে বায়োলজি ও ২০০৩ সনে বৈরুতের ইমাম আওযায়ী কলেজ থেকে ইসলামী অনিষদে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। যে সব মনীষা থেকে তিনি জ্ঞানের সুধা পান করেন, তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলেন, বিশিষ্ট ঐতিহাসিক মুহাম্মদ আলী দাওলাহ, শায়খ আব্দুল জলীল আমীর, ফকীহ মুহাম্মদ আসফার, ভাষাবিদ নায়েফ আব্বাস, শায়খ আব্দুল কাদের আরনাউত এবং শায়েখ শুয়াইব আরনাউত। তিনি দীর্ঘ ৩২ বছর দুবাইয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অধীনে অধ্যাপনায় থাকার পর ২০১৫ সনে রিটায়ার্ড গ্রহণ করেন। এখন তিনি লেখালেখি সহ গবেষণামূলক কাজে সম্পুর্নরুপে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। ১৯৭৫ সন থেকেই তিনি দামেশকের স্বনামধন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান দারুল কলমের সম্পাদনা ও প্রকাশনা বিভাগে কাজ করে আসছেন।
রচিত গ্রন্থ : খোলাফায়ে রাশেদা সিরিজ, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, আবু হুরাইরা রা., ইবনে হাজার, ইমাম বুখারী রহ. এর জীবনী সহ তিনি বেশ কিছু জীবনালেখ্য ও গবেষণামূলক গ্রন্থ রচনা করেছেন। ইতিমধ্যেই যার সবগুলোই পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
[Fatima ra.,fatema ra., Fateema ra., Fatima, Fatema, fateema]
admin (verified owner) –
ইসলামের আলোতে পৃথিবী আলোকিত হয়ে ওঠার যে ইতিহাস, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শে পৃথিবী সভ্য হয়ে ওঠার যে ইতিহাস, কুরআনের জ্ঞানে পৃথিবী শিক্ষিত হয়ে ওঠার যে ইতিহাস—সেখানে লেখা আছে জান্নাতী নারীদের নেত্রি নবীকন্যা ফাতিমা রাযিয়াল্লাহু আনহার অবদান।
লেখা আছে তাঁর অপরিসীম ভূমিকার কথা; তার অকল্পনীয় ত্যাগ-সাধনার গল্প; তার অসীম বীরত্বের কাহিনী। তিনি এমন এক মহীয়সী নারী—যার সমতুল্য সৌভাগ্যের অধিকারী কোনো রমণী আগেও যেমন পৃথিবীতে ছিল না, পরেও আর আগমনের কোনো সুযোগ নেই। তিনি একজন মানুষ ছিলেন—কোনো ঐশ্বরিক অবতার ছিলেন না। নবীকন্যা হিসেবে তিনি ছিলেন মুমিনদের জন্য আদর্শ, এ উম্মতের জন্য এক অবিস্মরণীয় অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব।
তবে এক শ্রেণির মানুষ তার নামে নানা গল্প-গুজব ও মিথ্যা ইতিহাস বর্ণনা করেছে। এ থেকে উত্তরণ, নিজের আকীদা-বিশ্বাস সঠিক করা এবং ইসলামের শ্বাশত সত্য-সুন্দর ও শান্তিময় পথে জীবনকে পরিচালিত করার জন্য তার জীবনী পড়া আবশ্যক।
লেখক পরিচিতি
বর্তমান আরব জাহানের খ্যাতিমান, প্রথিতযশা এক লেখকের নাম আব্দুস সাত্তার আশ-শায়খ। ১৯৫৫ খৃষ্টাব্দে তিনি সিরিয়ার দামেশকে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক পড়াশোনার পর ১৯৮০ সনে দামেশক ইউনিভার্সিটি থেকে বায়োলজি ও ২০০৩ সনে বৈরুতের ইমাম আওযায়ী কলেজ থেকে ইসলামী অনুষদে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
যে সব মনীষা থেকে তিনি জ্ঞানের সুধা পান করেন, তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলেন, বিশিষ্ট ঐতিহাসিক মুহাম্মদ আলী দাওলাহ, শায়খ আব্দুল জলীল আমীর, ফকীহ মুহাম্মদ আসফার, ভাষাবিদ নায়েফ আব্বাস, শায়খ আব্দুল কাদের আরনাউত এবং শায়েখ শুয়াইব আরনাউত।
তিনি দীর্ঘ ৩২ বছর দুবাইয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অধীনে অধ্যাপনায় থাকার পর ২০১৫ সনে রিটায়ার্ড গ্রহণ করেন। এখন তিনি লেখালেখি সহ গবেষণামূলক কাজে সম্পূর্ণরূপে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। ১৯৭৫ সন থেকেই তিনি দামেশকের স্বনামধন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান দারুল কলমের সম্পাদনা ও প্রকাশনা বিভাগে কাজ করে আসছেন।
একনজরে বইটিতে যা আছে:
ফাতিমা রা. এর জান্নাতের নেত্রী হওয়া সংক্রান্ত বর্ণনা আর লেখকের অবতরণিকা ও পরিশিষ্ট ছাড়াও এতে আছে সর্বমোট দশটি অধ্যায়।
#প্রথম অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে, ফাতিমার নাম, বংশ, উপনাম, উপাধি। পিতা-মাতা, স্বামী-সন্তান ও ভাই-বোনদের পরিচয়।
তার নামকে ঘিরে রাফেযীদের বানানো উক্তি এবং সেগুলোর খণ্ডন। এ-অধ্যায়ে আরো আছে তার জন্ম ও বয়স নিয়ে ঐতিহাসিক মতভেদ ও এর সহজ সমাধান!
#দ্বিতীয় অধ্যায়
এতে আলোচিত হয়েছে সায়্যিদা ফাতিমার শৈশব থেকে মদীনায় হিজরত পর্যন্ত ঘটনার সারসংক্ষেপ। জীবনের পাঁচটি বসন্ত না পেরোতেই তার চরিত্রে ফুটে ওঠা বিচক্ষণতা, বুদ্ধিমত্তা ও অবিচলতা। ইসলামের দাওয়াতী পরিবেশে বেড়ে ওঠা, প্রতিকূল মুহুর্তেও হিজরত ও হিজরতকালীন জনৈক বর্বর কাফেরের হিংস্রতার মুখোমুখি হওয়া–ঐতিহাসিক বিশুদ্ধ তথ্যের আলোকে সবকিছু বিবৃত হয়েছে এ-অধ্যায়ে!
#তৃতীয় অধ্যায়টি নবীকন্যার বিয়ে ও দাম্পত্য জীবন কেন্দ্রিক।
ফাতিমা রাযিয়াল্লাহু আনহাকে কারা কারা বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছেলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেন তাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে আলীকে নিজের জামাতা হিসেবে গ্রহণ করলেন!? বিয়ের মোহরানা ও উপঢৌকন কী ছিল? কেমন ছিল তার বিবাহের অনুষ্ঠান। এসবকিছু আলোচিত হয়েছে এখানে। ফাতিমার বিবাহে পুরো মদীনায় বয়ে চলে অনাবিল আনন্দের জোয়ার। নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সকল সাহাবী হর্ষোৎফুল্লিত হয়ে মেতে ওঠে আনন্দ উৎযাপনে। আলীর অভাবী সংসারের শুরু থেকে শেষাব্ধি তারা ছিলেন তার সহযোগী ও অনুপ্রেরণাদাতা।
এ অধ্যায়ে আরো আছে, বিবাহের তারিখ ও বিবাহকালীন দুলহা-দুলহানের বয়স নিয়ে মিথ্যা ও ঐতিহাসিক মতভিন্নতার মূলোৎপাটন। নবীদুহিতা হয়েও সংযমের জিন্দেগী ও অভাবের সংসারে ফাতিমার দিনগুজরানের দুঃখদ চিত্র।
রাফেযি ও সমকালীন কিছু লেখকের অপরিণামদর্শী বানোয়াট মন্তব্যের খণ্ডন এবং তাদের প্রকৃত চরিত্র উন্মোচন।
#চতুর্থ অধ্যায় সাজানো হয়েছে তার চরিত্র, ইবাদতের নানাদিক নিয়ে।
#পঞ্চম অধ্যায়।
বলা হয় ফাতিমার কাছে ওহী আসত। তাকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল। ঐশী সে কিতাব নাকি মহাগ্রন্থ আলকুরআনের তিন গুন, অথচ তাতে কোরআনের একটি হরফও নেই। এটাকি বাস্তব নাকি নিছক কল্পনা!? নাকি উম্মতকে বিভ্রান্ত করতে সাজানো নাটক? এসব প্রশ্নের দালীলিক সমাধান দেওয়া হয়েছে এ-অধ্যায়ে।
#ষষ্ঠ অধ্যায়।
কোথাও বলা হয়েছে মারইয়াম বিনতে ইমরান জান্নাতি নারীদের সম্রাজ্ঞী। কোথাও বলা হয়েছে আসিয়া ও ফাতিমার কথা। আসলে কে হবেন রমণীদের নেত্রী! সেরা কে? আয়েশা, খাদিজা, মারইয়াম নাকি ফাতিমা? তা জানতে বাস্তবতা ও দলীলপ্রমাণর নিরিখে সাজানো এ অধ্যায়ে আপনার চোখ রাখতে হবে।
#সপ্তম অধ্যায়
বিশ্ব-মুসলিম যুগেযুগে প্রতিটি অধ্যায়ে তাদের সীমাহীন ভালোবাসা, অনুরাগ-অনুভূতি আর মর্যাদা ও সম্মানের অর্ঘ্য দিয়ে সিক্ত করেছে গোটা আহলে বাইতকে। এ-ধারা নিরবধি বয়ে চলেছে যুগের পর যুগ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম__সাহাবীদের পবিত্র সময় থেকে বর্তমান অবধি!
তবে তাদের এই ভালোবাসায় কোনো অতিরিক্ততা নেই। একমাত্র নববী আদর্শে উজ্জ্বল এ অনুরাগ। কিন্তু শিয়া-রাফেজীরা এক্ষেত্রেও তাদের বাড়াবাড়ির চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। নবীপত্নীদের চরিত্রে কালিমা লেপন করে তাদেরকে বের করে দিয়েছে আহলে বাইতের পবিত্র শব্দসীমা থেকে, অথচ তারাই প্রকৃত আহলে বাইত। পাঠক এ-অধ্যায়ে খুঁজে পাবেন এতদসংক্রান্ত প্রকৃত সত্যটি। জানতে পারবেন আসল ইতিহাস।
#অষ্টম অধ্যায়
জীবনের তেইশটি বছর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদের সাথে কাটিয়েছেন। সাহাবায়ে কেরাম তার মাঝেই খুঁজে পেতেন নিজেদের বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। কেউ ক্ষণকালের জন্যও ভাবেননি নবীহীনভাবেও তাদেরকে এই পৃথিবীতে থাকতে হবে। কিন্তু তিনি যখন সবাইকে বিদায় জানিয়ে পরম বন্ধুর সান্নিধ্যে চলে গেলেন, শ্রবণশক্তি আর দৃষ্টিশক্তি স্তব্ধ হয়ে ব্যাথাতুর বিষণ্ণতায় ছেয়ে গেল সাহাবীদের দুনিয়া।
আর ফাতিমার ব্যাথা তো ছিল অবর্ণনীয়। লেখক এ অধ্যায়ে রাসূলের তিরোধানের সেই যাতনাময় সময়টুকু সফলভাবে আঁকতে সক্ষম হয়েছেন।
#নবম অধ্যায়
পিতা-মাতা মারা যাওয়ার পর সাধারণত সন্তানরাই তাদের রেখে যাওয়া সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়ে থাকে। তাহলে ফাতিমার তো উত্তরাধিকারসূত্রে রাসূলের রেখে যাওয়া সম্পদ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কেন তিনি পেলেন না!
আবু বকর রাযি. এর কাছে মিরাস চাইতে গেলে সেদিন তিনি ফাতিমার সাথে কেমন আচরণ করেছিলেন!?
শ্রুত ইতিহাস ও রাফেযীদের বর্ণনা থেকে আমরা জানতে পারি, তিনি সেদিন ফাতিমাকে তার পিতার সম্পদ দেননি। তাকে বঞ্চিত করেছেন। এর জের ধরে ফাতিমা রা. মনঃক্ষুণ্ণ হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আর আবু বকরের সাথে কথা বলেননি।
লেখক এ অধ্যায়ে দেখিয়ে দিয়েছেন__ঘটনাটি এমন নয়। বরং সম্পূর্ণ এর বীপরীত। ফাতিমার মত একজন মহামানবী থেকে সামান্য সম্পদ নিয়ে এমন আচরণ প্রকৃত ইতিহাস পরিপন্থী।
#দশম অধ্যায়
শেষ বিদায়। মৃত্যুকালে বয়স, মৃত্যুসন। তার জানাযা কে পড়িয়েছিলেন। বস্তুনিষ্ঠ বর্ণনার মাধ্যমে তো প্রমাণিত হয় আবু বকরই তার জানাযার ইমাম ছিলেন। তাহলে রাফেযী ও বুখারি মুসলিমের রেওয়ায়াতগুলোর হাকীকত কী? তিনি কি মানবী ছিলেন, নাকি জগত সৃষ্টির বহুপূর্বে খোদায়ী নূরে তৈরী কোনো অতিমানবী!
এছাড়াও আরো অনন্য অনেকিছু আছে এই বইটিতে। আমার জানামতে, ফাতিমার একক জীবনী নিয়ে রচিত বাংলা গ্রন্থ এটিই প্রথম। এতে নেই কোনো অতিশয়োক্তি, নেই মিথ্যার আবরণ।
আল্লাহ তাআলা লেখক, অনুবাদক ও প্রকাশক সবাইকে কবুল করুন। আমীন!!
লিখেছেন, আল্প আরসালান